Microsoft Word | ওয়ার্ড ২০১৬

এম এস ওয়ার্ড ২০১৬ এর ইউজার ইন্টারফেস

ওয়ার্ড ২০১৬ চালু করলে নিম্নরূপ উইন্ডো প্রদর্শিত হবে।

আসুন জেনে নেয়া যাক প্রদর্শিত উইন্ডোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ।

 

Quick Access Toolbar (কুইক একসেস টুলবার):

File ট্যাবের ঠিক ওপরেই টাইটেল বারের সবার বায়ে কুইক একসেস টুলবার অবস্থিত।

কুইক একসেস টুলবার হলো সর্বাধিক ব্যবহৃত কমাণ্ডগুলোর সর্টকাট এখানে অবস্থান করে।

ডিফল্ট অবস্থায় কুইক একসেস টুলবারে সাধারণত Save, Undo এবং Redo কমাণ্ডসমূহ থাকে।

ইচ্ছে করলে আপনি এটিকে কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন।

কুইক একসেস টুলবার কাস্টমাইজ করতে এখানে ক্লিক করুন।

File Tab (ফাইল ট্যাব):

এম এস ওয়ার্ড ২০১৬ ইন্টারফেসে ওয়ার্ড ২০০৭ এর অফিস বাটনটিই File ট্যাব দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

এখানে ক্লিক করে Backstage View প্রদর্শন করানো যায়।

সাধারণত ফাইল Open, Save, New, Print সহ রিলেটেড অপারেশনসমূহ সম্পাদন করা যায়।

Title Bar (টাইটেল বার):

এটি ওয়ার্ড ইউজার ইন্টারফেসের সবার ওপরে মাঝে অবস্থান করে। এই টাইটেল বারে ওপেনকৃত প্রোগ্রামের নাম ও ডকুমেন্টের নাম প্রদর্শিত হয়।

Ribbon (রিবন):

রিবনে ধারণকৃত কমাণ্ডসমূহ ৩টি উপাদানে বিভক্ত থাকে-

  • Tabs – এটি রিবনের উপরিভাগে সম্পর্কিত কমাণ্ডের সমন্বয়ে বিভিন্ন প্যানেল বা গ্রুপে প্রদর্শিত থাকে। যেমন:- Home, Insert, Design, Layout, Reference, Mailings, Review, View ও Add-Ins ট্যাবসমূহ।
  • Groups – এটি সম্পর্কিত কমাণ্ডসমূহ অর্গানাইজ করে থাকে। প্রত্যেকটি গ্রুপের নাম রিবনের নিচে অবস্থান করে। Home ট্যাবের Font প্যানেল বা গ্রুপের ভেতর ফন্ট সম্পর্কিত সকল কমাণ্ডসমূহ থাকে। যেমন- Font, Bold, Italic, Underline, Font Color ইত্যাদি।
  • Commands – রিবনের ভেতর কমাণ্ডসমূহ বিভিন্ন গ্রুপে অবস্থান করে।

Ruler (রুলার):

এম এস ওয়ার্ড ২০১৬ এর ইউজার ইন্টাফেস এ দুটি রুলার থাকে। একটি Horizontal রুলার এবং অন্যটি Vertical রুলার।

সাধারণত হরিজোন্টাল রুলার রিবনের ঠিক নিচেই অবস্থান করে। এটি মার্জিন এবং ট্যাব সেটিং করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অন্যদিকে Vertical রুলার ওয়ার্ড উইন্ডোর বায়ে অবস্থান করে। এটি পৃষ্ঠাতে বিভিন্ন উপাদানগুলির উল্লম্ব অবস্থান পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

Tell Me (টেল মি):

এম এস ওয়ার্ড  ২০১৬ ইউজার ইন্টারফেস এ অপশনটি নতুন সংযোজন। এর দ্বারা কোন কমাণ্ড সম্পর্কে হেল্প পাওয়া যায়।

এটি ব্যবহার করে অজানা কমাণ্ড এর কার্যকারীতা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

Dialog Box Launcher (ডায়ালগ বক্স লাঞ্ছার):

এটি রিবনের বিভিন্ন গ্রুপের নিম্ন-ডান কোণে খুব ছোট তীর দ্বারা প্রদর্শিত থাকে। এই বাটনটি ক্লিক করলে গ্রুপের বিভিন্ন কমাণ্ড বিস্তারিতভাবে প্রদর্শিত হবে।

Status Bar (স্ট্যাটাস বার):

আপনার ডকুমেন্ট বা নথির বিভিন্ন তথ্য প্রদর্শন করে থাকে। সবার বায়ে মোট পৃষ্ঠা নম্বর ও বর্তমান পৃষ্ঠা, মোট শব্দ, ভাষা ইত্যাদি প্রদর্শন করে থাকে।

স্ট্যাটাস বারের ওপর যে কোন জায়গায় মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন।

View Buttons (ভিউ বাটনস):

এ অপশনটি জুম অপশনের বায়ে অবস্থিত। এর দ্বারা ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বিভিন্নভাবে প্রদর্শন করানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

সাধারণত ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ৫ (পাঁচ) ভাবে প্রদর্শিত হতে পারে। যেমন:-

  • Print Layout View – ডকুমেন্ট প্রিন্ট করলে যেমন দেখা যাবে এ অপশনে প্রদর্শিত থাকলে ডকুমেন্ট তেমনটি দেখাবে।
  • Full Screen Reading View – ডকুমেন্ট আপনার মনিটরের পুরো পর্দা জুড়ে প্রদর্শন করানোর জন্য এ অপশন ব্যবহৃত হয়।
  • Web Layout View – আপনার ডকুমেন্টটি কোন ওয়েব ব্রাউজারে দেখতে কেমন হবে তা এ অপশন ব্যবহার করে দেখা যায়।
  • Outline View – ডকুমেন্ট ওয়ার্ড এর স্ট্যান্ডার্ড হেডিং স্টাইলে প্রদর্শন করার জন্য এ অপশন ব্যবহার হয়ে থাকে।
  • Draft View – এ অপশনটি ডকুমেন্টের কিছু ফরমেট শিরোনাম, হেডার এবং ফুটার ইত্যাদি প্রদর্শিত হয় না। অধিকাংশ মানুষই এই মোড পছন্দ করে থাকেন।

Zoom Control (জুম কন্ট্রোল):

এ অপশন দ্বারা ডকুমেন্টকে ছোট এবং বড় করে প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কীবোর্ডের কন্ট্রোল কী চেপে ধরে মাউসের হুইল ওপরে ঘুরালে জুম-ইন অর্থাৎ বড় এবং নিচে ঘুরালে জুম-আউট অর্থাৎ ছোট অবস্থায় প্রর্শন হবে।

এছাড়া – (মাইনাস) চিহ্ন চাপলে ডকুমেন্ট এরিয়া ছোট এবং + (প্লাস) চিহ্ন চাপলে ডকুমেন্ট এরিয়া বড় হবে।

স্মরণীয়: এক্ষেত্রে ডকুমেন্টের সকল তথ্য শুধুমাত্র বড় কিংবা ছোট আকারে প্রদর্শিত হবে কিন্তু ডকুমেন্ট সকল তথ্যের সাইজ ঠিক থাকবে। অর্থাৎ ছোট ও বড় অবস্থায় দেখার জন্য এ অপশন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

নিচের চিত্রে প্রদর্শিত ডকুমেন্ট এরিয়া হলো যেখানে আপনি আপনার টেক্সট সংযোজন করবেন।

ডকুমেন্টে কোন কিছু লেখার জন্য নিম্নের নিয়মটি অনুসরণ করুন।

  • একটি বিষয় সর্বদা মনে রাখবেন একটি নতুন লাইন কিংবা প্যারাগ্রাফ তৈরির জন্যই শুধুমাত্র কীবোর্ডের এন্টার (Enter) কী চাপবেন।
  • লাইনের শেষে কার্সর যাবার পর এন্টার চাপার প্রয়োজন নেই। আপনি লিখতেই থাকুন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্সর নিচের লাইনে চলে যাবে।
  • টাইপের কাজটি সহজ মনে হলেও এটি সহজ কাজ নয়। আপনি যদি টাইপ করা অনুশীলন না করেন তবে কোনভাবেই দ্রুত ও নির্ভুল টাইপ করতে পারবেন না।

কিভাবে কীবোর্ড দ্বারা কার্সর বিভিন্ন জায়গায় মুভমেন্ট করানো যায়?

ডকুমেন্ট এরিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় কার্সর মুভমেন্ট করার জন্য নিচের টেবিলে বিভিন্ন পদ্ধতি বর্ণিত হলো:

কীবোর্ডের Ctrl কী এর সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন কী এর ব্যবহার

আপনি ইচ্ছে করলে কার্সরকে প্রতি শব্দের পরপর এবং প্রতি প্যারাগ্রাফের পরপর মুভে করাতে পারেন।

নিম্নের টেবিলে কন্ট্রোল কী এর সাথে বিভিন্ন কী এর সমন্বয়ে কাজসমূহ বর্ণিত হলো:

যদিও প্যানেল ব্যবহার করেও এ কাজটি করা যায়, কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা কীবোর্ডের F5 ফাংশন কী ব্যবহার করবো।

ফলে নিম্নের চিত্রের মত একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হবে। যেখান থেকে আপনি বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।

যেমন- নির্দিষ্ট কোন পৃষ্ঠায় গমন, কোন বুকমার্কে গমন, নির্দিষ্ট কোন লাইনে গমন ইত্যাদি।

ধরুন, আপনার ডকুমেন্টে ১০টি পৃষ্ঠা রয়েছে এবং কার্সর প্রথম পাতায় রয়েছে।

আপনি কার্সরকে ৭নং পৃষ্ঠায় নিতে চান। এজন্য নিচের পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

  • কীবোর্ডের F5 ফাংশন কী চাপুন।
  • এবারে Go to what: এর নিচের ঘরে যদি Page সিলেক্ট করা না থাকে তবে সিলেক্ট করুন।
  • অতপর Enter page number: এর নিচের ঘরে 10 টাইপ করুন।
  • সবশেষে Ok বাটন ক্লিক করুন।
  • এবারে ডায়ালগ বক্সটি বন্ধ করতে Close বাটন ক্লিক করুন।

কিভাবে কীবোর্ড দ্বারা ফাইল বন্ধ করবেন?

ওপরের কিভাবে মাউস দিয়ে বা মেন্যু ব্যবহার করে কোন ওপেনকৃত ফাইল বা নথি বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। তবে কীবোর্ড দ্বারা খুব সহজে এ কাজটি সম্পাদন করা যায়।

  • ওপেনকৃত ফাইল ক্লোজ করার জন্য কীবোর্ডের Ctrl+W চাপুন।
  • Close কমাণ্ডটি প্রয়োগ করবেন তখন যদি ফাইলটি সংরক্ষণ করা না থাকে তবে সংরক্ষণ করার জন্য একটি বার্তা প্রদর্শন করবে।

এক্ষেত্রে প্রদর্শিত ডায়ালগ বক্সে ৩টি বাটন পরিলক্ষিত হবে। বাটন ৩টির কার্য নিম্নে বর্ণিত হলো:

  • Save বাটনে ক্লিক করলে ফাইলটি সংরক্ষিত হয়ে বন্ধ হবে।
  • Don’t Save বাটনে ক্লিক করলে ফাইলটি সংরক্ষিত না হয়ে বন্ধ হবে।
  • Cancel বাটনে ক্লিক করলে প্রদর্শিত ডায়ালগ বক্সটি বাতিল হয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।

নোট: একটি বিষয় সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, উইন্ডোজ ভিত্তিক যে কোন এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামের সকল ভার্সনেই ফাইল বন্ধ করার নিয়ম একই।